রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কবরস্থান নিয়ে বিরোধ; হামলার ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত মিরপুর দি হোপ স্কুলে শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর

বাহুবলে এসিল্যান্ড পরিচয়ে ৬ বেকারীতে চাঁদা দাবি

বাহুবল ( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : বাহুবল উপজেলার কয়েকটি বেকারীর মালিকের মোবাইল নাম্বারে এসিল্যান্ড পরিচয়ে কয়েক ইউপি সদস্যকে ব্যবহার করে চাঁদা দাবি করেছে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারী। বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মিরপুর, হামিদনগর ও পুটিজুরী বাজারের ৬ বেকারি মালিকের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে এ চাঁদা দাবি করা হয়।
এসিল্যান্ড পরিচয়ে ০১৭৩১ ৫৯৯৪৬৬ নম্বর থেকে ফোন দিয়ে তিন ইউপি সদস্যকে কয়েকটি বেকারিতে পাঠিয়ে ৫০/৬০ হাজার করে চাঁদা দাবি করা হয়। তবে কোন বেকারি মালিক এভাবে টাকা দিতে অনীহা জানালে ভাবনায় পড়ে যান সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য। তাৎক্ষণিক এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ বেকারি মালিকদের মাঝে সৃষ্টি হয় কৌতুহল।
পুটিজুরী ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন জানান, দুপুরের দিকে ফোন পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন তারা মিয়া তাকে পুটিজুরী হযরত শাহপরান বেকারিতে গিয়ে মালিককে এসিল্যান্ডের সাথে কথা বলানোর জন্য বলেন । ইউপি সদস্য ওই বেকারিতে গিয়ে ফোনে যোগাযোগ করে দিলে ০১৭৩১৫৯৯৪৬৬ নম্বর থেকে এসিল্যান্ড পরিচয়ে ৬০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু বেকারি মালিক এভাবে টাকা দিতে অনীহা জানালে ইউপি সদস্য বিষয়টি নিয়ে ভাবনায় পড়ে যান।
একইভাবে সাতকাপন ইউপি সদস্য আতাউর রহমান ও বাহুবল সদর ইউপি সদস্য ফারুক মিয়াকে ব্যবহার করে আরও কয়েকটি বেকারিতে চাঁদা দাবি করা হয়। পরে তারাও তাজ্জব বনে যান প্রতারকদের কৌশলে। অপর ৫ বেকারি হলো, মিরপুর বাজারের গাউছিয়া এবং এ আর রহমান বেকারি, বাহুবল গ্রামীন বেকারি, হামিদনগর আশা বেকারি, দিগাম্বর বাজার আল ইসলাম বেকারি। উল্লেখিত বেকারীগুলোর স্ব স্ব মালিকের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে ৫০/৬০ হাজার টাকা চাওয়া হয়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাহুবল উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল জানান, এভাবে কোন প্রতিষ্ঠানে টাকা চাওয়ার সুযোগ নেই। প্রশাসনের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হলে পুলিশ সহ অভিযান করা হয়। তিনি বলেন মোবাইল ফোনে ইউপি সদস্যদের ব্ল্যাকমেইল করে চাঁদা দাবি করা এটা প্রতারক চক্রের কাজ। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে এসিল্যান্ড জানান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com